ছেলের জন্য মায়ের চিঠি (bcs)

 👨‍⚕️ছেলের জন্য মায়ের চিঠি📒


মেয়ের চিঠি,বাবার কাছে মেয়ের চিঠি,চিঠি,না খেয়ে কষ্ট করা সেই মায়ের ছেলে এখন বিসিএস ক্যাডার,চিঠি লিখার সহজ নিয়ম,মায়ের প্রতি ভালোবাসা,বাংলা ২য় পত্র চিঠি লিখার নিয়ম,চিঠি লিখার নিয়ম,ভারতে ছেলের সাথে সরকারি কর্মকর্তা হচ্ছেন মা,মাকে রেলস্টেশনে ফেলে গেলেন বিসিএস ক্যাডার ছেলে,যেকোন প্রকার চিঠি লিখার সহজ কৌশল,চিঠি লিখার সহজ কৌশল,বাংলা চিঠি লিখার নিয়ম,সকল চিঠি লিখার সহজ কৌশল,যেকোন চিঠি লিখার সহজ কৌশল,বৃদ্ধা মা’কে রেলস্টেশনে ফেলে গেলেন ম্যাজিস্ট্রেট ছেলে,সায়েম

মা মারা যাওয়ার কিছু দিন পর।মায়ের ঘর পরিষ্কার করতে গিয়ে মায়ের হাতে লেখা একটা চিঠি পায়, তার এক মাএ ছেলে।  চিঠিতে লেখা ছিল খোকা এই চিঠি যখন তোর হাতে পরবে,,, তখন আমি তোর কাছ থেকে অনেক দূরে চলে যাব। যেখান থেকে কেউ কোন দিন ফিরে আসে না। খোকা তোর অনেক কথায় মনে নেই। তাই এই চিঠিতে লিখে গেলাম। তোর মনে না থাকা সেই  কথা গুলি।  তুই যখন ছোট ছিলি একবার তোর জ্বর হয়েছিল।  

আমি ৩ রাত ঘুমাতে পারি নি,, তোকে বুঁকে নিয়ে বসে ছিলাম কারন, তোকে বিছানায় শুয়ে রাখলেই কেঁদে ওঠতি,,তোর বাবা আমাকে বলেছিল তোকে শুয়ে রাখতে,,, কিন্তু আমি পারিনি। সেই জন্য আমাকে অনেক কথা বলেছিল তোর বাবা । তোকে রাতে যখন বিছানায় শোয়াতাম,, তুই প্রস্বাব করে বার বার বিছানা ভিজিয়ে ফেলতিস,,, তখন আমি তোকে আবার ও শুকনো জায়গায় রাখতাম।  আমি তখন তোর ঐ প্রস্বাব জায়গায় থাকতাম। তোর বাবা যখন মারা গেল,,,তখন অনেক কষ্টে আমাকে সংসারটা চালাতে হয়েছিল । একটা ডিম ভেজে দুই টুকরো করে তোকে দুবেলাই দিতাম । এমন ও দিন গেছে লবন দিয়ে ভাত মেখে খেয়েছি আমি কিন্তু তোক বুঝতে দেই নি । একদিন রান্না করার মতো কোন চাল ছিলো না ঘরে,, তখন কোন উপাই না পেয়ে,,এক বাড়িতে কাজ করে কিছু চাল নিয়ে এসে ভাত রেধে খাওয়াই ছিলাম তোকে । হয়তো তুই ভুলে গেছিস,, যখন তোর ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষার ফি দিতে পারছিলাম না,,,তখন তোর বাবার দেওয়া শেষ সৃতি নাক ফুলটা বিক্রি করে দিয়েছিলাম।আরও অনেক কথা আছে যা লেখতে গেলে হয়তো খাতা শেষ হয়ে যাবে কিন্তু লেখা শেষ হবে না।

ভাবছিস এত কথা তোকে কেন বলে গেলাম। খোকা তুই যখন বড় হয়ে গেলি ।একটা ভালো চাকরি পেলি এর কিছু দিন পর বিয়ে করলি,,,তখন আমি তোদের নিয়ে ভালোই ছিলাম। মনে আছে খোকা একদিন ঘর থেকে কিছু টাকা চুরি হলো,,,সেই দিন তুই আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল, আমি তোর টাকার বিষয় কিছু জানি কি না,,,তুই আমাকে সরাসরি কিছু না বললেও আমি বুঝতে  পারছিলাম তুই আমাকে চোর ভেবেছিলিস । এর কিছু দিন পর তুই আমাকে চোরের অপবাদ দিয়ে,,,,, আমাকে অন্য একটি ঘর এ রেখে দিলি। খোকা আমার সেই ঘরটিতে থাকতে অনেক ভয় করতো।  কারন ঘরটি তোদের ঘর থেকে অনেক দূরে ছিল। তোকেও  একদিন বলেও ছিলাম, আমার একা একা থাকতে ভয়  লাগে। তুই আমাকে বলেছিলি,, মরণ আসলে যেকোনো জায়গায় আসবে। আমার হাটুর ব্যাথা বেড়েছিল তাই তোকে বলেছিলাম,, খোকা আমাকে কিছু ঔষধ কিনে দিবি,,,, তুই বলেছিলি,, এই বয়সে ঔষধ খাওয়া লাগে না, এমনি এমনি ভালো হয়ে যায় ।। 

তুই যখন ছোট ছিলি,, তোকে কোলে নিয়ে খেতে বসতাম, তবু্ও  তোকে চোখের আড়াল হতে দিতাম না। খোকা তুই যখন আমার কোলে পায়খানা করে দিতিস তোর পায়খানা পরিষ্কার করতে আমার একটুও ঘৃনা লাগতো না। কিন্তু তুই যখন আমার কাছে আসতি, তখন  নাকে রুমাল দিয়ে আসতি ,,,কেনো রে খোকা আমার  শরীর দিয়ে দুর্গন্ধ আসতো বলে। এক কাপড় আমাকে কত মাস যে পড়ে থাকতে হয়েছে তা ঠিক আমি বলতে  পারবো না। তুই যখন অনেক দিন পর আমাকে দেখতে এসেছিলি,,, আমার খুব ইচ্ছে ছিল তোকে জরিয়ে ধরি,,,কিন্তু খোকা পারি নি তোকে বুকে জরিয়ে ধরতে,, কারন আমার শরীরে অনেক ময়লা ছিল,, তাতে যদি তোর দামি জামা নষ্ট হয়ে যায়,,, এই ভয়ে তোকে বুকে নিতে পারি নি সেই দিন। 

খোকা কখনো আমাকে একবার ও জিজ্ঞেস করিস নি,,, মা তোমার কি কিছু খেতে মন চাই,, খাওয়ার কথা থাক ! কত দিন যে তোর মুখে মা ডাক শুনি নি তা ঠিক বলতে পারবো না।। খোকা আমার কি অপরাধ ছিল যে,, আমাকে তোর কাছ থেকে অনেক দূরে রাখলি,,,?? তুই কি পারতি না আমাকে তোর কাছে রাখতে,,,? তুই কি পারতি না আমাকে একটা কাপড় কিনে দিতে,,,? খোকা তুই কি পারতি না  আমাকে একটা Doctor  দেখাতে,,,? আমাকে একটা Doctor দেখালে হয়তো এই পৃথিবীতে আর কিছু দিন বেঁচে থাকতে পারতাম। খোকা কোনো মা তার সন্তান এর কাছে পেট ভরে খেতে চায় না,, শুধু মন ভরে মা ডাক শুনতে চায়,,,,, যা তুই কখনো বুঝতে চাস নি,,, খোকা তোকে একটা শেষ আনুরোধ করছি,,,আমার এই চিঠি টা তোর সন্তানদের পড়ে শুনাবি,,,,কারন তুই বৃদ্ধ হলে তোর সাথে তোর সন্তানেরা যেন এরকমটি আর না করে। ভালো থাকিস,,,,,,,

            ইতি তোর,,,মা

Next Post Previous Post